বরগুনায় অসহায় মানবরু দম্পতির পাশে তরুণ উদ্যোক্তা Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনায় অসহায় মানবরু দম্পতির পাশে তরুণ উদ্যোক্তা

বরগুনায় অসহায় মানবরু দম্পতির পাশে তরুণ উদ্যোক্তা

বরগুনায় অসহায় মানবরু দম্পতির পাশে তরুণ উদ্যোক্তা




বরগুনা প্রতিনিধি॥ স্ত্রীর নাম মানবরু, স্বামীর নাম রশিদ ডাকুয়া। চেহারার দিকে তাকালেই বয়সের ছাপ দেখা যায়। এ দম্পতির কখনো কখনো পেটে ভাত জুটে না।

 

 

মানবরুর পরনে ছেঁড়া কাপড়। রশিদ বয়সের ভারে নুব্জ হয়ে এবং অসুস্থতার কারণে হাঁটা চলা করতে পারছেন না। একমাত্র থাকার ঘরটি তুফানের তোড়ে ভেঙে যায়।

 

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে যায় বলেশ্বর নদের পদ্মা বেড়িবাঁধ। ওই বেড়িবাঁধের বাসিন্দা মানবরু ও রশিদ। অনেক বছর ধরে এই বাঁধের ওপরেই কুঁড়ে ঘরে থাকেন এ দম্পতি। প্রতিনিয়তই ঝড় জলোচ্ছ্বাস লেগেই থাকে।

 

 

সরেজমিন এক সাংবাদিক তাদের দুঃখ দুর্দশার চিত্র তুলে আনতে গেলে মানবরু সহযোগিতা চেয়েছিলেন ওই সাংবাদিকের কাছে। অনেকে বলে থাকেন সাধ আছে সাধ্য নেই। প্রতিবেদন দেখে তরুণ উদ্যোক্তা তুহিন প্রমাণ করে দিলেন মন থাকলে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়।

 

 

মানবরু দম্পতির দুঃখ গাঁথা নিয়ে এরই মধ্যে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় ঢাকা তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তরুণ উদ্যোক্তা মাইনুল ইসলাম তুহিন ওই দম্পতিকে শাড়ি, লুঙ্গি, চাল, ডাল, আলু, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ এক মাসের সম্পূর্ণ বাজার করে দেন।

 

 

শনিবার সকালে বলেশ্বর নদের পদ্মা বেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আস্থা’র সহযোগিতায় কুঁড়ে ঘরে গিয়েই সেই মানবরু দম্পতিকে এ খাদ্য সামগ্রী তোলে দেন। স্ত্রী মানবরু দুইটি শাড়ি কাপড় ও স্বামী রশিদ ডাকুয়া দুইটি লুঙ্গিসহ এক মাসের বাজার পেয়ে খুশি হয়েছেন।

 

 

মানবরু বলেন, ভিটেমাটি যা ছিল সব নদীতে শেষ। ঘরের মাটি ভাইঙ্গা যাওয়ায় ঠিক মতো রান্নাও করতে পারিনা। আমরা এই বাজার সদায় ও কাপড় পাইয়া মহা খুশি।

 

 

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী তরুণ উদ্যোক্তা মাইনুল ইসলাম তুহিন বলেন, গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ দম্পতির প্রতিবেদন দেখেছি। খুবই খারাপ লেগেছে। তাই এ দম্পতিকে সহযোগিতা করেছি। এ পর্যন্ত আমার ইউটিউব থেকে ১ লাখ টাকা আয় করেছি। ইউটিউব থেকে আগামীতে যত টাকা আয় হবে তা থেকে অর্ধেক টাকা অসহায়দের মাঝে বিতরণ করবো।

 

 

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আস্থা’র সভাপতি সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আমরা সব সময়ই প্রান্তিক জনপদের অসহায়দের মাঝে সহযোগিতা এবং শ্রম দিয়ে আসছি। তরুণ উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী তুহিন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে সহযোগিতা করেছি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD